ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৪ 

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৪ 

Welcome To ( Engr Rakibul islam NayoN )

Sixth Class Bengali Assessment Guidelines 2024

 

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৪

ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা মূল্যায়ন  শিক্ষার্থীরা কতটা শিখেছে প্রত্যেকটা বিষয়ে তার যোগ্যতা অর্জনের পথে কতটা অগ্রসর হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে প্রতিটি একক যোগ্যতার জন্য বার্ষিক ও ষাণ্মাসিক পারদর্শিতার সূচক (Performance Indicator:PI) নির্ধারিত করা  হয়েছে। এই পারদর্শিতার সূচকের তিনটি মাত্রা নির্ধারণ করা আছে যোগ্যতাসমূহের সূচক গুলো  এবং তাদের তিনটি মাত্রার পরিশিষ্ট-১ এ দেয়া আছে।

 এটি ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৪ এর  প্রতিটি  পারদর্শিতার সূচকের তিনটি মাত্রাকে মূল্যায়ন পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহের ও বুঝার  সুবিধার্থে চতুর্ভুজ, বৃত্ত, ও ত্রিভুজ (০) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে যা দিয়ে বুঝা যায় কোন শিক্ষার্থী কেমন । এই চিহ্ন গুলো দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের মান দেওয়া হয়।

  ক্লাসে শিখন কালীন ও সামষ্টিক দুই ক্ষেত্রেই পারদর্শিতার সূচকে অর্জিত তিনটি (চতুর্ভুজ, বৃত্ত,ত্রিভুজ)  মাত্রার উপর নির্ভর  করে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা অর্জনের মাত্রা নির্ধারন করা হবে। অর্জিত মাত্রা লিখবেন পরীক্ষা বা কোনো এসাইনমেন্ট এর উপর  ভিত্তি করে  রেকর্ড করবেন। যখন একটা শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল অর্জন করবে এই মাত্রা দিয়ে নিরুপন করা হবে।

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা মূল্যায়ন নির্দেশিকা  ২০২৪

 

তাছাড়াও শিক্ষাবর্ষ শুরুর  ছয় মাস পর একটি অর্ধবার্ষিক ষান্মাসিক  এবং বছর শেষে আরেকটি ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। এই দুটো সামষ্টিক মূল্যায়নে শিখন পদ্ধতি কতটুকু  শিক্ষার্থীদের শিখাতে পেড়েছে বা পারে তা পূর্বনির্ধারিত কিছু কাজ (এসাইনমেন্ট, প্র্যাকটিক্যাল কাজ, প্রকল্প ইত্যাদি) সম্পন্ন করতে হবে। যা দিয়ে বছরের প্রথম দিক  শিখনফল ও অভিজ্ঞতা যাচাই করা যাবে। 

 

ষান্মাসিক অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় বছরের প্রথম ছয় মাসের শিখন ফল ও অভিজ্ঞতা যাচাই করা হয়। পরের ছয় মাসের শিখন পদ্ধতি ও অভিজ্ঞতা যাচাই করা হয় বার্ষিক মূল্যায়ন করা হবে।

২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা যায় নতুন কারিকুলামের উপর ভিত্তি করে বার্ষিক মূল্যায়ন করা হবে। নানান  বন্ধ দেওয়ার কারণে  ২০২৪ সালের ষান্মাসিক অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা জুলাই মাসে শুরু হতে যাচ্ছে। তো শুরু করা যাক:

অধ্যায়-১: মর্যাদা বজায় রেখে যোগাযোগ করি পারদর্শিতার সূচক মাত্রার প্রথম অধ্যায়:

  • অন্যের সাথে কথা বলার  সময়ে নিজের চাহিদা ও ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারছে ।
  • সবাই একসাথে বসে  নিজের চাহিদা প্রকাশ করার সময়ে ঐ ব্যক্তি বর্গ গুলোরও  আগ্রহ, চাহিদা ও আবেগ বিবেচনায় নিতে পারছে সাথে উত্তর দিচ্ছে ।
  •  কাছে নিজের চাহিদা প্রকাশ করার সময়ে  পরিস্থিতির অবস্থান  অনুযায়ী ব্যক্তির আগ্রহ, চাহিদা ও আবেগ বিবেচনায় নিয়ে যোগাযোগ করতে পারছে।

– ব্যক্তির সাথে মন খোলে কথা বলতে পারছে। সবার সাথে মতামত বিনিময় করতে পারছে।

  • ব্যক্তির সাথে নিজের  সম্পর্কের দিক অনুযায়ী যথাযথভাবে সম্বোধন করতে পারছে।

–সবলীল  ভাষা প্রয়োগের পাশাপাশি ব্যক্তির সাথে নিজের সম্পর্কের ধরন অনুযায়ী যথাযথভাবে সম্বোধন করতে পারছে।

–যেখানে সেখানে ব্যক্তির সাথে যেখোনো বিষয়ে আলোচনা করার অভিমত জানাতে পারছে।

অধ্যায়-২: প্রমিত ভাষা শিখি পারদর্শিতার সূচক মাত্রার ২য় অধ্যায়:

  • শ্রেণিকক্ষে কার্যক্রম চলাকালে প্রমিত বাংলা সম্বোধন করে কথা বলার চেষ্টা করেছে।
  • পরিস্থিতি বা অবস্থা অনুযায়ী প্রমিত বাংলায় কথা বলতে পারার পারদর্শিতা  ক্রমান্বয়ে দক্ষ করেছে।
  • কোনো বিষয়ের উপর প্রমিত বাংলায় কথা বলতে পারার যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে। যেকোনো বিষয় ধরে কথা বলতে পারছে প্রমিত ভাষায়। 

 

অধ্যায়-৩: অর্থ বুঝে বাক্য লিখি পারদর্শিতার সুচকের মাত্রা:

  • সংক্ষিপ্ত কোনো  লেখা থেকে বিভিন্ন  বিষয় বা শ্রেণির শব্দ চিহ্নিত করতে পারছে।
  • কঠিন লেখা থেকে বিভিন্ন শ্রেণির শব্দ চিহ্নিত  করতে পারছে।
  • বাক্য তৈরির সময়ে সঠিক শব্দ ব্যবহার আর  বিভিন্ন শ্রেণির শব্দ বিবেচনায় আনতে পারছে।
  • দীর্ঘ শব্দের বৈচিত্র্যতা ব্যবহার চিহ্নিত  করতে পারছে।
  • বাক্যের ব্যবহার বৈচিত্র্য অনুযায়ী শব্দ পরিবর্তন করতে পারছে।
  • বাক্য লিখা ও পড়ার সময়ে শব্দের অর্থবৈচিত্র্য বিবেচনায় নিতে পারছে।
  • একটি বৈচিত্র লেখা থেকে বিভিন্ন শ্রেণির বাক্য শনাক্ত করতে পারছে।
  • লেখার ধরন থেকে বিভিন্ন শ্রেণির বাক্য শনাক্তের পাশাপাশি যতিচিহ্ন ব্যবহারের কারণ  এবং কেন উল্লেখ করতে পারছে।
  • বিভিন্ন শ্রেণির  কঠিন,জটিল, সরল বাক্য  ও যতিচিহ্নের সঠিক ব্যবহার করে অনুচ্ছেদ লিখতে পারছে।

 

অধ্যায়-৪ ও ৬: চারপাশের লেখার সাথে পরিচিত হই ও সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি

পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:

  • বর্ণনামূলক ও তথ্যমূলক লেখা দেওয়া তা পড়ে বিষয়বস্তু বুঝতে পারছে।
  • পাঠের প্রায়োগিক,সংক্ষিপ্ত,আলোচনামূলক, বর্ণনামূলক ও তথ্যসংক্রান্ত লেখা পড়ে বিষয়বস্তু বুঝতে পারছে।
  •  যা প্রায়োগিক, সংক্ষিপ্ত,আলোচনামূলক,বর্ণনামূলক, তথ্যসংক্রান্ত, বিশ্লেষণমূলক ও কল্পনানির্ভর লেখা পড়ে বিষয়বস্তু বুঝতে পারছে।
  • বর্ণনামূলক লেখায়  লেখকের ভাবভঙ্গি ও দৃষ্টিভাব উপলব্ধি করতে পারছে।
  • প্রায়োগিক,সংক্ষিপ্ত  বর্ণনামূলক ও তথ্যসংক্রান্ত লেখা পড়ে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে পারছে।
  •  পাঠ্যের প্রায়োগিক দিক ,সংক্ষিপ্ত,  বর্ণনামূলক, তথ্যসংক্রান্ত, বিশ্লেষণমূলক ও কল্পনানির্ভর লেখা পড়ে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে পারছে।
  • লেখা থেকে অনেক রকমের  তথ্য শনাক্ত করতে পারছে।
  • পাঠে লেখা  থেকে বিভিন্ন শনাক্তকৃত তথ্য বিশ্লেষণ করে নিজের ভাষায় উপস্থাপন ও মতামত প্রকাশ করতে পারছে।
  • নিজের মতো করে বিভিন্ন ধরনের  ভাবমূলক লেখা প্রস্তুত করতে পারছে।  
  • নিজস্ব  মতামতে কল্পকাহিনীমূলক লেখা প্রস্তুত করতে পারছে।
  • লেখাগুলো থেকে বিভিন্ন জ্ঞান আরোহন করে নিজে আরো মনোরম ভাবে উপস্থাপন করতে পারছে।

 

অধ্যায়-৫: বুঝে পড়ি লিখতে শিখি পারদর্শিতার সুচকের মাত্রা:

  • সাহিত্যের প্রতি একরকম ধারণা করতে পারছে। 
  •  এই সাহিত্যের বৈচিত্র্য রূপরেখা শনাক্ত করতে পারছে।
  • যা সাহিত্যের বিভিন্ন ধরনের  রূপেরেখার বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করতে পারছে।
  •  উল্লেখিত সাহিত্যের বিভিন্ন ধরনের  রূপের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে  পারছে।
  • অনুচ্ছেদের সাহিত্য  পড়ে বিষয় ও বক্তব্যের ধারণা বা ভাব বুঝতে পারছে।
  •  এটি সাহিত্যের বিষয় ও বক্তব্যকে বাস্তব জীবনের সাথে সম্পর্কিত করতে পারছে।
  • তারা সাহিত্যের বিষয় ও সংলাপকে জীবনের সাথে মিলিত করে  অন্যের মতামতের  সাথে যাচাই করতে পারছে।
  • নিজের কল্পনাশক্তি  ও দক্ষতাকে  ভাষায় প্রকাশ করতে পারছে।
  •  শিক্ষার্থীরা নিজের  কল্পনাশক্তি ও অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যের পাঠের সঠিক  রূপে প্রকাশ করতে পারছে।
  •  পাঠকরা নিজের কল্পনা ও অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যের নির্দিষ্ট রূপে সৃজনশীল ও নতুন  উপায়ে প্রকাশ করতে পারছে।
  • সাহিত্যিক বিষয় পড়ে নিজে লিখার মনোভাব তৈরি করতে পারছে।

 

অধ্যায়-৭: জেনে বুঝে আলোচনা করি পারদর্শিতা সুচকের মাত্রা:

  • কোনো পাঠের  বক্তব্য, বিষয়কে মনোযোগ সহকারে ভালো ভাবে দেখে, শুনে  মাঝে মাঝে কৌতূহলমূলক ও আশ্চর্যমূলক প্রশ্ন করতে পারছে।
  • যকোনো পাঠের বক্তব্য অধ্যবসায় করে , ঘটনা বা বিষয়কে ভালো করে  মনোযোগ সহকারে দেখে, শুনে বা স্পর্শ করে প্রায়শই জ্ঞানমূলক ও  কৌতূহলমূলক প্রশ্ন করতে পারছে।
  • সব পাঠের বক্তব্য, ঘটনা বা বিষয়কে ভলো ভাবে মনোযোগ সহকারে দেখে, শুনে বা স্পর্শ করে সঠিকভাবে কৌতূহলমূলক প্রশ্ন করতে পারছে।
  •  এটি কোনো বক্তব্য পাঠ করে নিজস্ব অভিমত যথার্থতা প্রকাশের ফলাবর্তনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারছে।
  • অনেক  ক্ষেত্রেই  নিজের অভিমত যথার্থ ভাবে ফলাবর্তনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারছে।
  • সঠিকভাবে নিজের অভিমতের মাধ্যমটা ফলাবর্তনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে পারছে।
  • সীমিত পরিসরে ইতিবাচক বা হ্যাবোধক ভাবে অন্যের মতামতের  সমালোচনা করতে পারছে।
  • অনেকে ক্ষেত্রেই  ইতিবাচকভাবে অন্য জনের মতামতেরও  সমালোচনা করতে পারছে।
  • যথাযথভাবে পাঠক পাঠ করে  ইতিবাচকভাবে অন্যের মতের সঠিক সমালোচনা করতে পারছে।
  • যথার্থভাবে বক্তব্য পাঠ করে নিজের ইচ্ছে কে মিলতে পারছে।

 এখানে ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৪। যথাযথ একটা সর্বোপরি নির্দেশিক দেওয়া হলো ষষ্ঠ শ্রেণীর অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে। আমরা এরিনের পক্ষ থেকে দেওয়া হলো। 

প্রিয় শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলামকে অনুসরণ করে এই নির্দেশিকা টা দেওয়া হলো (২০২৪)। ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা  মূল্যায়ন হবে সাতটি অনুচ্ছেদের উপর। আমরা চেষ্টা করেছি সব গুলো পারদর্শিতা সূচকের মাত্রা গুলো নিয়ে একট পুরোপুরি ধারণা দিতে।