Welcome To (ERIN)
Class 6 Bengali Chapter III Section Solution: Punctuation
৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা তৃতীয় অধ্যায় ৩য় পরিচ্ছেদ সমাধান: যতিচিহ্ন
৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলা তৃতীয় অধ্যায় ৩য় পরিচ্ছেদ সমাধান : আগের পরিচ্ছেদে আমরা পড়লাম শব্দ ও উচ্ছারণ নিয়ে। যেগুলো কথা বলার ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই সেশনে আমরা আলোচনা করবো যতিচিহ্ন নিয়ে।
যা দিয়ে কথা বলার সময় শব্দ ও উচ্চারণের মাধুর্যতা খুঁজে পাবে। আমরা সাধারণত কথা বলার সময় কখনই খুব তাড়াহুড়া বা অস্থির হয়ে কথা বলি না। তবে দ্রুত অথবা একটানা কথা বলতে থাকলে পরিষ্কার অর্থ প্রকাশ পায় না।
যার ফলে ভালো ভাবে মনের ভাবও প্রকাশ পায় না। লক্ষ্য করে দেখো তো কেন বুঝা যায় না। প্রকৃত পক্ষে কথা বলার সময় আমাদের মাঝে মাঝে থামা প্রয়োজন না এটা আবশ্যিক ।
কথা বলার মাধুর্য তা থাকবে না যদি একনাগাড়ে কথা বলতে থাকি। তবে কথা বলার মাঝে থামারও একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কখন কিভাবে কতটুকু থামবো।
কোনো জায়গায় বেশিক্ষণ থামতে হয়, কোথাও অল্প সময় থামতে হয়। আবার প্রায় ক্ষেত্রে কন্ঠস্বরের পরিবর্তন করা দরকার কথার মাধুর্যতা বৃদ্ধি পায়। যেমন- অবাক হওয়া,প্রশ্ন করা,কিছু বর্ণনা করা, আদেশ করা,উপদেশ দেওয়া। ইত্যাদি প্রকাশ করার জন্য কণ্ঠস্বর ওঠা-নামার বা পরিবর্তন প্রয়োজন হয়।
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা তৃতীয় অধ্যায় ৩য় পরিচ্ছেদ সমাধান :
এই যতিচিহ্ন ব্যবহার করে থাকি কমা (,), দাঁড়ি (।), হাইফেন (-), ড্যাশ (-), কোলন ড্যাশ (:-), সেমিকোলন(;) , কোলন(:), প্রশ্নচিহ্ন (?), বিস্ময়চিহ্ন (!) ইত্যাদি। যা কথা বলার ও লিখার ক্ষেত্রে ভাষায় সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে।
যতিচিহ্ন ব্যবহার করে অনুচ্ছেদ লিখি। (বাংলা মূল বই পৃষ্ঠা: ৫১)
উত্তর: মানসিক শান্তি হলো একজন মানুষের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি, মন ভালো থাকলে সবকিছু করতে আমরা আনন্দ পায় । বিড়াল কি তোমার প্রিয় নয়? হ্যাঁ নিশ্চয় প্রিয়। বিড়াল ভালোবাসে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে কঠিন । একেক জনের কাছে একেক বিড়াল প্রিয়।
আমার প্রিয় বিড়াল হলো হালকা লাল পারসিয়ান বিড়াল। বিড়াল এমনিও শান্ত প্রাণি। তবে এটি দেখতে যতটা সুন্দর ততটাই শান্ত প্রকৃতির।
এই বিড়াল মানুষের সাথে খেলতে ভালোবাসে। একদিন আমি আমার বান্ধুবীর বাড়িতে গেলাম গিয়ে দেখি বিড়াল। বাহ! দেখতে খুব সুন্দর ছিল। আমিও কনবো একটা। এটার সাথে খলা করতে বেশ মজা।এটির বৈশিষ্ট্য হলো দেশি বিড়ালে মতো সব খায় না। এরা সৌখিন হয় ও পরিষ্কার ভাবে থাকতে পছন্দ করে।
গুটি গুটি পায়ে হাটে আর লেজ গুটিয়ে বসে থাকে।
বিড়াল নিয়ে অনেকেই লিখেছেন –
“বিড়াল আমার বন্ধু
আমি তার বন্ধু,বিড়াল আমার
অনন্ত ভালোবাসা”।।
বেশি বেশি অনুশীলনের জন্য দলীয় ও একক কাজের সমাধান
কাজ-১: নিচের কবিতাটি পড়ে যতিচিহ্ন বসাও-
পাকাপাকি
–সুকুমার রায়
আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে
কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে
রোদে জলে টিকে রং পাকা কই তাহারে
ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে
হাত পাকে লিখে লিখে চুল পাকে বয়সে
জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে
লোকে কয় কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে
কান পাকে ফোড়া পাকে পেকে করে টনটন
কথা যার পাকা নয় কাজে তার ঠনঠন
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে
সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে বাড়িতে
পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে
দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে
উত্তর:
পাকাপাকি
–সুকুমার রায়
আম পাকে বৈশাখে কুল পাকে ফাগুনে,
কাঁচা ইট পাকা হয় পোড়ালে তা আগুনে।
রোদে জলে টিকে রং, পাকা কই তাহারে;
ফলারটি পাকা হয় লুচি দই আহারে।
হাত পাকে লিখে লিখে, চুল পাকে বয়সে,
জ্যাঠামিতে পাকা ছেলে বেশি কথা কয় সে।
লোকে কয় কাঁঠাল সে পাকে নাকি কিলিয়ে?
বুদ্ধি পাকিয়ে তোলে লেখাপড়া গিলিয়ে!
কান পাকে ফোড়া পাকে, পেকে করে টনটন-
কথা যার পাকা নয়, কাজে তার ঠনঠন।
রাঁধুনি বসিয়া পাকে পাক দেয় হাঁড়িতে,
সজোরে পাকালে চোখ ছেলে কাঁদে বাড়িতে।
পাকায়ে পাকায়ে দড়ি টান হয়ে থাকে সে।
দুহাতে পাকালে গোঁফ তবু নাহি পাকে সে।।
কাজ-২ : অনুচ্ছেদ গুলো পড়ে যতিচিহ্ন বসাও-
১. লিসানের মা ওকে পঞ্চম শেণি পাশ করার পর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দিয়েছে ছোট থেকে তাঁর মায়ের ইচ্ছে ছিল না মাদ্রাসার হুজুর তাকে নিয়ে গেছে উনি উনার নিজ দায়িত্বে বলেছেন তাঁর মাকে সে হাফেজ হতে পারবে তার এই প্রতিভা রয়েছে
উত্তর: যতিচিহ্নের প্রয়োগ: লিসানের মা ওকে পঞ্চম শেণি পাশ করার পর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দিয়েছে। ছোট থেকে তাঁর মায়ের ইচ্ছে ছিল না,মাদ্রাসার হুজুর তাকে নিয়ে গেছে। উনি উনার নিজ দায়িত্বে বলেছেন তাঁর মাকে, সে হাফেজ হতে পারবে তার এই প্রতিভা রয়েছে।
২.বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ একেক ঋতুতে নানান রকম ফুলের আবাস পায় যেমন
গ্রীষ্মকালের ফুল
কৃষ্ণচূড়া হিমচাঁ পাজারুল জিনিয়া হিজল কাঠ- গোলাপ ও বরুণ ইত্যাদি
বর্ষাকালের ফুল
বকুল কদম শাপলা লিলি কামিনী ঘাসফুল সন্ধ্যামালতি জুঁই মালতি ইত্যাদি
শরৎকালের ফুল
শিউলি কাশফুল কামিনি টগর শাপলা শেফালিনজবা পদ্ম হিমঝুরি পাখিফুল ইত্যাদি
হেমন্তকালের ফুল
মল্লিকা রাজ অশোক বকফুল গন্ধরাজ গন্ধের এছাড়াও শিউলি কামিনী ছাতিম ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যায়
শীতকালের ফুল
চন্দ্রমল্লিকা গাঁদা ডালিয়া ডেইজি অ্যাস্টার সূর্যমুখী পপি ক্যালেন্ডুলা ও পিটুনিয়া ইত্যাদি
বসন্তকালের ফুল
কনকচাঁপা দোলনচাঁপা নয়নতারা রুদ্রপলাশ চাঁপা বেলী শাল শিমুল স্বর্ণশিমূল ও ক্যামেলিয়া
উত্তর: যতিচিহ্নের প্রয়োগ: বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ। একেক ঋতুতে নানান রকম ফুলের আবাস পায় যেমন:-
গ্রীষ্মকালের ফুল:
কৃষ্ণচূড়া,হিমচাঁপাজারুল, জিনিয়া, হিজল, কাঠ- গোলাপ ও বরুণ ইত্যাদি
বর্ষাকালের ফুল:
বকুল, কদম, শাপলা, লিলি, কামিনী, ঘাসফুল, সন্ধ্যামালতি, জুঁই ও মালতি ইত্যাদি।
শরৎকালের ফুল:
শিউলি, কাশফুল, কামিনি, টগর, শাপলা, শেফালি,জবা, পদ্ম, হিমঝুরি ও পাখিফুল ইত্যাদি।
হেমন্তকালের ফুল :
মল্লিকা, রাজ, অশোক, বকফুল, গন্ধরাজ, এছাড়াও শিউলি, কামিনী, ছাতিম ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যায়।
শীতকালের ফুল:
চন্দ্রমল্লিকা , গাঁদা, ডালিয়া, ডেইজি, অ্যাস্টার, সূর্যমুখী, পপি, ক্যালেন্ডুলা ও পিটুনিয়া ইত্যাদি।
বসন্তকালের ফুল:
কনক চাঁপা, দোলনচাঁপা, নয়নতারা, রুদ্রপলাশ, চাঁপা , বেলী, শাল, শিমুল, স্বর্ণশিমূল ও ক্যামেলিয়া
৩. তুমি কি সুন্দরবন বনভোজনে যাবে রিয়া হ্যাঁ যাবো আহ কি মজা হবে তাই না
এই প্রথম আমি কিছু প্রাণী দেখবো সরাসরি সুন্দরবন গিয়ে
উত্তর: যতিচিহ্নের প্রয়োগ: তুমি কি সুন্দরবন বনভোজনে যাবে রিয়া? হ্যাঁ যাবো। আহ! কি মজা হবে তাই না?
এই প্রথম আমি কিছু প্রাণী দেখবো সরাসরি সুন্দরবন গিয়ে।
যতিচিহ্ন অতি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমরা আমাদের ভাষা কে আরো সুন্দর করে তুলার জন্য এটি আবশ্যক। কথা বলি সময় যদি না বুঝতে পারি কতটুকু থামবো । তাহলে আমাদের ভাষা কেউ বুঝতে পারবে না।
অনেকাংশে কথা বলার সময় দ্রুত বলতে থাকার কারণে আমরা বুঝতে পারি না। অবশ্যই থামতে হবে বলার মাঝে।থামার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম দেওয়া হয়েছে মূল বইয়ের তয় অধ্যায়ের তৃতীয় পরিচ্ছদে। জানতে হবে কোন যতিচিহ্নে কতক্ষণ থামতে হয়।
ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা তোমরা নতুন কারিকুলামের সকল কিছু পাবে আমাদের ওয়েব সাইটে। আপনি যদি শিক্ষার্থীর অবিভাবক হয়ে থাকুন আপনাকেও স্বাগতম এরিনের পক্ষ থেকে। আরো তথ্য পেতে ওয়েবসাইটের একাডেমিক সাইটে যান।
সকল একাডেমিক বিষয় সম্পর্কে পাবেন এরিনে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির নতুন কারিকুলামের সব বিষয়ের নির্দেশিকা পাবেন।
ধন্যবাদ সবাই কে
Leave a Reply