ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ : (নমুনা ৪)

Welcome To ( ERIN)

ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ : (নমুনা ৪)

ষষ্ঠ শ্রেণী ­বাংলা ৩য় অধ্যায় প্রথম পরিচ্ছেদ নমুনা- ৪ : সবাই যখন খেলে, রিনার ভাই রাজীব তখন পড়তে বসে। আবার সবাই যখন পড়তে বসে, রাজীব তখন ঘুমায়। আর সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, রাজীব তখন খেলে। আজকাল কী যে করছে ছেলেটা! বয়স সবে চার বছর পূর্ণ হলো।

সবকিছুতেই তার এলোমেলো আচরণ। বাবা একদিন কথায় কথায় মাকে বললেন, “আচ্ছা, ছেলেটার সব কাজ এমন এলোমেলো হচ্ছে কেন?” মা হেসে বললেন, “কোথায়! সব কাজ তো এলোমেলো হচ্ছে না। এই যেমন, আমি খাইয়ে দিলে রাজীব সময়মতো খায়।” 

মার কথা শুনে বাবা হাসলেন। বললেন, “আরেকটু বড়ো হলে কী করবে, সেটাই দেখার বিষয়।” মা বললেন, “বড়ো হলে সব বুঝতে শিখবে। তখন সময়মতো পড়বে, ঘুমাবে, আর খেলবে।” ( ষষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর ২৮ পৃষ্ঠা) 

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ নমুনা ৪

উপরের অনুচ্ছেদ থেকে কাজ করা বোঝায় এমন শব্দ খুঁজে বের করো এবং নিচের খালি জায়গায় লেখো। (মূল বইয়ের ২৮ নম্বর পৃষ্ঠা)


উত্তর: খেলে, ঘুমায়, করছে, বসে,করবে,শিখবে, বললেন, হচ্ছে, হেসে, দিলে, খায়, হলে, শুনে, পড়বে, ঘুমাবে, খেলবে। 

বি; দ্রষ্টব্য: 

এটি শেষে হওয়ার পর তোমার অন্য বন্ধুর সাথে মিলিয়ে নাও। তাদের সাথে উত্তরে কোনো পার্থক্য হলে তা নিয়ে আলোচনা করো।

১. ক্রিয়া পদ কাকে বলে?


উত্তর: যে পদ দিয়ে কোন কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া পদ বলে। অর্থাৎ, বাক্যের অন্তর্ভুক্ত যে পদ দিয়ে কোন কাজ সম্পাদন করা বা কোন কাজ সংঘটন হওয়াকে বোঝায়, তাকে ক্রিয়া পদ বলে। যেমন-

  • রাণী বই পড়ছে।
  • বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।
  • রাজা মাঠে খেলছে।
  • জেরিন খাচ্ছে ।

এখানে প্রথম বাক্যে ‘পড়ছে’ শব্দটির মাধ্যমে রাণীকে দিয়ে কোনো কাজ সংঘটিত হওয়াকে বোঝাচ্ছে। আবার ২য় বাক্যে ‘হচ্ছে’ শব্দটির মাধ্যমে বৃষ্টি হওয়াকে বোঝানো হচ্ছে । ৩য় বাক্যটিতে খেলছে শব্দটি দিয়ে কাজ বুঝানো হচ্ছে।  ৪র্থ বাক্যে খাচ্ছে দিয়ে কাজ বুঝাচ্ছে এগুলোই ক্রিয়া।

২. ক্রিয়া পদ কত প্রকার ও কী কী?


উত্তর: ক্রিয়া পদকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হচ্ছে-


১. সমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া দ্বারা  সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করা যায়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন- পান্না স্কুলে যায়। এখানে ‘যায়’ শব্দটি সমাপিকা ক্রিয়া।

২. অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া পদ দিয়ে  বাক্যের ভাবের পরিসমাপ্তি বা সমাপ্ত ঘটে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। অর্থাৎ, বাক্যে যখন ক্রিয়া দিয়ে বাক্য সম্পূর্ণ হয় না, আরো কিছু শোনার আকাঙক্ষা থেকে যায়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন- আকাশ মাঠে বসে…..। এখানে ‘বসে’ হলো অসমাপিকা ক্রিয়া। কারণ, আকাশ  মাঠে  বসে  কী করবে, তা বাক্যে পুরোপুরি উল্লেখ নেই।

পাঠ থেকে ক্রিয়া খুঁজি

“চিঠি বিলি ছড়া ও “সুখী মানুষ’ নাটক থেকে ক্রিয়া শব্দ খুঁজে বের করে তার একটি তালিকা তৈরি করো: (মূল বইয়ের ২৯ নম্বর পৃষ্ঠা)

  • ‘চিঠি বিলি’ থেকে পাওয়া যায় যা : চলেছে, লিখছে,কিনে,নিলাম,এসেছে,করতে,গেছে, গিয়ে,ঝড়ছে, ছুটছে, হলো, এসেছে, লিখছে, চলেছে, শুধায়, নামবে, কিনে, আসুক।

 

  • ‘সুখি মানুষ’ থেকে পাওয়া যায় যা : চাও, বলবেন, বলছো,যান, কোরো, করছি, বলছে, বাঁচবে, বলি, শ্রবণ, করো, বলুন, আনতে, তুলে, পারছি,হয়, জ্বলে, ভেঙে,  ঢেলে, দাও, খেয়েছে, পেলাম, মরবে, পালিয়ে, যাই, খাবে, ডাকবেন, কাটি, বেচি, করছে, বলছে, শোনো, দেখুক, দেখাবেন, যাব,  কাঁদো, হও, জ্বালিয়েছে, পেলাম, মরবে, জবরদস্তুি, পালিয়ে,দেখলে, হাসে, হবে,ছাড়ব, বলবে, বলব,থাকো, পাব, বাড়বে, এসো, দেখো, বাঁচব, ভাবছে, , পাই, কিনি, খেয়ে, সংগ্রহ,পড়ি, হাসছ, হচ্ছে।

অনুচ্ছেদটি গুলো  লিখে ক্রিয়া খুঁজি

একটি বিষয়ের উপর  ১০০ শব্দের মধ্যে একটি অনুচ্ছেদ লেখো,। তারপর সেখানে ক্রিয়া শব্দগুলোর নিচে দাগ দাও: (মূল বইয়ের  ২৯ নম্বর পৃষ্ঠা)


আমি তাহমিনা আক্তার লিয়া। আমি ষষ্ঠ শ্রেণী তে পড়ি আলহাজ্ব আমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে। আমার বাবা একজন সৎ কৃষক আর মা গৃহিণী। আমার চার বোন এক ভাই। সবাই পড়াশোনা করি। 

আমি  ক্লাসে একজন ভালো ছাত্রী হিসেবে পরিচিত। আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকে খুব ভালোবাসেন। আমার প্রিয় শখ গাছ রোপণ করা ও মানুষ কে সাহায্য করা। আমি বাবার থেকে টাকা নিয়ে একসাথে আটারো টা গাছ লাগিয়েছি।

আমার স্বপ্ন আমি বাহিরে যাবো। ভালো রাষ্ট্রে পড়াশোনা করবো। পরিবারকে ভালো কিছু দিব।

এমন আরে কিছু অনুচ্ছেদ লেখো। তারপর নিজেরা দলগত ভাবে কাজ করো।এক দল আরেক দলের সাথে আলোচনা করো। সবার উত্তরে কোথায় ভিন্নতা আছে খুঁজে বের করো। এভাবে চর্চা করো।

আজকের সেশন ছিল ষষ্ঠ শ্রেণী বাংলা ৩য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ : (নমুনা ৪)

৬ষ্ঠ শ্রেণী বাংলা প্রথম পরিচ্ছদ ৩য় অধ্যায়ের নমুনা ৪