Welcome To ( ERIN )
আপনার স্বপ্ন কি নার্স ?
আপনার স্বপ্ন কি নার্স, হওয়া? নার্স হতে হলে অবশ্যই কিছু জিনিস আপনাকে জানতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য কি কি করতে হবে তা জানতে হবে। সাথে জানা জরুরি ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে। আজকের আলোচনা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা, পরীক্ষা ও মান বন্টন সম্পর্কে।
নার্সিং পেশা একটি মহৎ পেশা যেটি সেবা মূলক কাজ। এই পরীক্ষা দিতে পারবেন যদি আপনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারেন। এই পেশা ভালো ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে। যারা ২০২৪ এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন তাদের পরীক্ষা শেষেই প্রস্তুতি শুরু করবেন নার্সিং এর।
এই পরীক্ষায় সার্কুলার প্রকাশ করা হয় মূলত প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার পর। আমরা আজ নার্সিং নিয়ে আলোচনা করবো সাথ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি পরীক্ষায় কীভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হয় এবং প্রয়োজনীয় সকল তথ্য তুলে ধরবো।
এবার আসি গুরুত্বপূর্ণ টপিকে
নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪
১. আবেদন কারী অবশ্যই বাংলাদেশের একজন নাগরিক হতে হবে এবং বয়স ২২ বছর।
২. ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াফারি ৩ বছর মেয়াদি । এ ক্ষেত্রে যে কোন বিভাগ হতে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (৩+৩) সর্বমোট নূন্যতম জিপিএ ৬.০০ থাকতে হবে। তবে কোন একটি পরীক্ষায় নুন্যতম জিপিএ ২.৫০ এর কম গ্রহণযোগ্য হবে না। একটায় ২.৫০ ও আরেকটায় ৩.৫০ থাকতে হবে।
৩. বিএসসি ইন নার্সিং এ পরীক্ষা দিতে হলে এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হতে হবে অবশ্যই। সায়েন্স বিভাগ থেকে এসএসসি এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় (৩.৫০+৩.৫০) সর্বমোট নূন্যতম জিপিএ ৭ থাকতে হবে। তবে কোন একটি পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ৩ এর নিচে হলে গ্রহণ যোগ্য হবে না। একটাতে ৪ হলে আরেকটা তে ৩ থাকতে হবে।
৪. বিদেশি শিক্ষার্থীরা এপ্লিকেশন করতে পারবে যদি বাংলাদেশের নাগরিক যা বিদেশে “ ও লেভেল “ বা “এ লেভেল “ কার্যক্রমে এসএসসি /এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মার্কশীট গুলো কে বাংলাদেশের জিপিএ তে রূপান্তরিত করতে হবে। তারপর Equivalent certificate এ রূপান্তর করে আবেদন করার যোগ্য হবে।
৫. ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াফারি কোর্সে শুধু নারী প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারেন।
৬. ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ও সায়েন্স ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াফারি কোর্সে ভর্তির জন্য পুরুষ প্রার্থীর জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আসনের ১০ শতাংশ এবং বেসরকারিটর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ভর্তি যোগ্য হবে।
পরীক্ষা ও মান বন্টন
(ক). SSC and HSC সমমান পরীক্ষার জিপিএ এর উপর এবং লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে মূল্যায়ন করা হয়….
- SSC পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ৪ গুণিতক = ২০ নম্বর নেয়।
- HSC পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-এর ৬ গুণিতক = ৩০ নম্বর নেয়।
- MCQ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা ১০০ নম্বর থাকবে।
- সর্বমোট ১০০ নম্বর থাকবে।
তারপরও প্রতি বছর সার্কোলারের উপরও ভিত্তি করে।
(খ). লিখিত পরীক্ষা পাশ নম্বর কতো?
১. বিএসসি ইন নার্সিং এর জন্য বিষয় ভিত্তিক নন্বর হলো : বাংলা-২০, ইংরেজি-২০, , বিজ্ঞান-৩০ (জীববিজ্ঞান, পদার্থ ও রসায়ন) গনিত -১০ এবং সাধারণ জ্ঞান-২০ অর্থাৎ সর্বমোট-১০০ নম্বরের MCQ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
২. ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি/ ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের বিষয় ভিত্তিক নম্বর হলো : বাংলা-২০, গনিত :১০,, ইংরেজি- ২০, সাধারণ বিজ্ঞান-২০ এবং সাধারণ জ্ঞান-২৫ অর্থাৎ সর্বমোট-১০০ নম্বরের MCQ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ( প্রতি বছর সার্কোলার মতে)
৩. পাশ নম্বর হলো ৪০। যারা ৪০ পাবে সিরিয়ালে আগে থাকবে তারা সরকারি নার্সিং এ ভর্তি হতে পারবে। যারা ৪০ এর উপর পেয়ে পাশ করেছে তারাও ভর্তি হতে পারবে বেসরকারি তে কিন্তু যে পাশমার্ক উঠাতে পারেনি সে পারবে না।
মেধা অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন
- বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে সরকারি ভাবে প্রতিষ্ঠানে ১০% ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ২০% পুরুষ নির্বাচন করা হয়। ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে শুধু নারী প্রার্থী কে অন্যন্য শর্তাবলী, মেধাক্রম ও কোটার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।
- পরীক্ষার্থী মোট নম্বরের ভিত্তিক পাশ মার্ক হলে তার রেজাল্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
- যদি কোনো কোটা থাকে যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগের ডিজিএনএম এর ফলাফলের সাথে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
- সরকারি নার্সিং কলেজে মুক্তিযুদ্ধাদের সন্তানের জন্য ২% কোটা বরাদ্দ থাকবে। অবশিষ্ট ৯৮ শতাংশ আসন সংখ্যার মধ্যে ৬০ শতাংশ জাতীয় মেধা কোটায় আর ৪০ শতাংশ জেলা কোটায় বরাদ্দ থাকবে।
- নির্বাচিত প্রার্থী তার মেধা ক্রমে সে কোন নার্সিং কলেজে ভর্তি হবে তা সয়ংক্রিয় ভাবে নির্বাচন করা হবে।
- প্রার্থীদের পছন্দের ভিত্তিতে কোর্স নির্ধারণ করা হয় ডিপ্লোমা কোর্সের ক্ষেত্রে।
- মুক্তিযুদ্ধা কোটার ক্ষেত্রেও পছন্দ অনুযায়ী কোর্স নির্ধারণ করা হয়।
- ভুল বশত কোটা দিয়ে আবেদন করলে টাকা জমা দেওয়ার সময় আবার নতুন করে আবেদন করতে পারবেন।
নার্সিং ভর্তির ক্ষেত্রে যে তথ্যগুলো অবশ্যই জানা দরকার
ভর্তির সময় সাথে কি কি কাগজ পত্র সাথে আনা আবশ্যক তা জানতে হবে।
- SSC & HSC ( মার্কশীট) মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও মূল পরীক্ষার সনদপত্র।
- ৪/৮ কপি পাসপোর্ট সাইজের সম্প্রতি বা বুঝা যায় এমন তোলা ছবি।
- ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র আবশ্যিক।
- মূল নাগরিক সনদপত্র আবশ্যক।
পারলে সবকিছু সত্যায়িত করবেন। পরীক্ষার প্রবেশপত্রে লিখা থাকলে তাই করতে হবে। সাথে আনবেন অবিভাবকের ২ কপি ছবি লাগবে সত্যায়িত করা। কিছু প্রতিষ্ঠান চাইতে পারে আবার নাও পারে।
ভর্তি হতে কত লাগবে?
সব কলেজ বা ইনস্টিটিউটে সমান ফি নয়। একেক জায়গার একেক রকম হয়ে থাকে। তবে ১৫ -১৬ হাজার লাগতে পারে আনুমানিক। আবার কিছু কলেজ সেমিস্টার পর পর পি নেই।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা কখন হবে আর কী কী?
যখন ভর্তি হবেন সেদিনেই করানো হবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এটি সময় সাপেক্ষ কাজ। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় এক্সরে চেস্ট পি/এ ভিউ,এইচবি এস (এজি),Hb%,Blood grouping, urine R/M/E এই টেস্ট গুলো করতে হয়।
ওয়েটিং লিস্ট থেকে কি টানে?
এটা নির্ভর করে আসন কতগুলো ফাঁকা তার উপর।
এবং নার্সিং পরীক্ষার আরও কিছু তথ্য
নার্সিং পড়তে হলে অবশ্যই আপনাকে এসএসসি এইচএসসি পাশ করতে হবে। দ্বিতীয়ত মানবিক, বানিজ্য, সায়েন্স বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেওয়া যাবে কিন্তু বিএসসি নার্সিং সায়েন্সে পরীক্ষা দিতে হলে সায়েন্স হতে হবে। ছেলে মেয়ে সবাই নারসিং পরীক্ষা দিতে পারবে।
নার্সিং এ সেকেন্ড টাইম আছে। সেকেন্ড টাইমারদের কোনো নাম্বার কাটা যাবে না।
আপনি যদি সায়েন্সের স্টুডেন্ট হন তাহলে বিএসসি নার্সিং সায়েন্স পরীক্ষা দিন এটি খুবি জনপ্রিয়। আপনি যদি মানবিক বানিজ্য হন তাহলে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স পরীক্ষা দিন এটিও ভালো সুযোগ রয়েছে। এটিও পরে বিএসসি নার্সিং সায়েন্সের সম পরিমান যাওয়ার একটি ধাপ পায়।
এটি নার্সিং নিশ্চিত সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না তবে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রিলিমিনারি পরীক্ষার মাধ্যমে নন ক্যাডারে যোগ দেন।
বিএসসি নার্সিং এ প্রমোশন আছে কি?
সকল পেয়ায় প্রমোশন আছে। নার্সেও আছে প্রথমত সিনিয়র স্টাফ নার্সে প্রলোশন হয়ে থাকে কিছু যোগ্যতা থাকলে।
নার্সিং বাংলা নাকি ইংলিশ মিডিয়াম?
এটি নার্সিং ইংলিশ মিডিয়াম। তাই যাদের ইংরেজি তে ভয় তারা এদিকে বাদ দিন।
সবাই পরীক্ষা দিতে পারবে (মাদ্রাসা, কারিগরি, বিএম)। মাদ্রাসা কিছু নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিতে হয়। আপনি যদি মাদ্রাসার হোন জেনে নিন শিক্ষকের কাছে।
Leave a Reply