Welcome To ( ERIN )
নবম শ্রেণির বাংলা মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৪
৯ম শ্রেণির বাংলা মূল্যায়ন, নির্দেশিকা ২০২৪: নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শিখন যোগ্যতা অর্জনের পথে কতটুকু অগ্রসর হচ্ছে তা পরীক্ষা নেওয়ার সুবিধার্থে প্রতিটি একক যোগ্যতার জন্য ষান্মাসিক ও বার্ষিক এক বা একাধিক পারদর্শিতার সূচক- (Performance Indicator, PI) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি পারদর্শিতার সূচকের তিনটি মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাত্রা গুলোকে যোগ্যতাসমূহের পারদর্শিতার সূচকসমূহ এবং তিনটি মাত্রা পরিশিষ্ট-১ এ দেয়া আছে।
প্রতিটি পারদর্শিতার সূচকের তিনটি মাত্রা দেওয়া হলো। চিহ্ন দেওয়া হয় মূল্যায়নের তথ্য সংগ্রহের সুবিধার্থে চতুর্ভুজ, বৃত্ত, বা ত্রিভুজ (△) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে । শিখনকালীন ও সামষ্টিক উভয় ক্ষেত্রেই পারদর্শী হলো কিনা তা সূচকের তিনটি মাত্রা দ্বারা বুঝা যায়। শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা যাচাই করা হয় এই মাত্রা দিয়ে।
অর্জিত মাত্রা লিখে রাখবেন ও রেকর্ড করবেন। এছাড়াও শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রথম ছয় মাস পর একটি(ষান্মাসিক) এবং বছর শেষে আরেকটি যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সামষ্টিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের কিছু যাচাই করে পূর্বনির্ধারিত কাজ (এসাইনমেন্ট,প্র্যাকটিকাল,বাড়ির কাজ, প্রকল্প ইত্যাদি) সম্পন্ন করতে হবে।
নবম শ্রেণির বাংলা মূল্যায়ন নির্দেশিকা ২০২৪
একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষকদের কাছে শিখন পদ্ধতিতে কতটা কার্যকর করলো। কর্মক্ষেত্রে তারা অর্জনের পথে কতটা অগ্রসর বা উন্নতি হচ্ছে তা পরীক্ষনের সুবিধার্থে প্রতিটি একক যোগ্যতার জন্য এক বা একাধিক পারদর্শিতার সূচক (Performance Indicator, PI) নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিটি পারদর্শিতার সূচকে আবার তিনটি মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যোগ্যতাসমূহের পারদর্শিতার সূচক গুলো এবং তাদের তিনটি মাত্রা পরিশিষ্ট-১ এ দেওয়া আছে। প্রত্যেকটি পারদর্শিতার সূচকের তিনটি মাত্রাকে মূল্যায়ন এর তথ্য সংগ্রহের সুবিধার্থে চতুর্ভুজ,ত্রিভুজ বা বৃত্ত দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শিখনফল অভিজ্ঞতা ও সামষ্টিক উভয় ক্ষেত্রেই পারদর্শিতার সূচকের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীর যোগ্যতা অর্জনের তিনটি মাত্রা নির্ধারন করতে হয়। অর্জিত মাত্রা লিখে রাখবেন ও রেকর্ড করবেন। এটি দিয়ে মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও মূল্যায়নের জন্য শিক্ষাবর্ষ শুরুর ছয় মাস পর একটি এবং বছর শেষে একটি যান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হবে। সামষ্টিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীদের পূর্বনির্ধারিত কিছু কাজ (এসাইনমেন্ট,প্র্যাকটিকাল,বাড়ির কাজ, প্রকল্প ইত্যাদি) সম্পন্ন করতে হবে।
অধ্যায়-১: বিভিন্ন মাধ্যমে ৭ যোগাযোগ করি
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• যোগাযোগে চাহিদার অনুযায়ী পরিবেশ-পরিস্থিতির বৈচিত্র্যতা শনাক্ত করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• পরিচিত পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে সাত যোগাযোগ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• পরিচিত ও অপরিচিত সব রকমের পরিবেশ- পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যোগাযোগ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
পারদর্শিতা সূচকের মাত্রা হলো:
• সাত যোগাযোগের সময় একে অপরের আগ্রহ-চাহিদা চিহ্নিত করতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
• যোগাযোগের সময় প্রসঙ্গে নিজের আগ্রহ- চাহিদা প্রকাশিত করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• সব কিছুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজস্ব আগ্রহ-চাহিদা প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
অধ্যায়-২: প্রমিত বলি প্রমিত লিখি
পারদর্শিতা সূচকের মাত্রা:
• আঞ্চলের আঞ্চলিক বাক্যকে প্রমিত বাক্যে রূপান্তরিত করে প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• সাধু রীতির বাক্য কে প্রমিত রূপে রূপান্তরিত করে প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• প্রমিত রীতি মান্য করে সাবলীল ও সুস্পষ্ট ভাবে কথা বলতে/প্রকাশিত করতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
অধ্যায়-৩: ৭ লেখা পড়ি সাত লেখা বুঝি
পারদর্শিতা সূচকের মাত্রা:
• প্রায়োগিক যে কোনো লিখিত লিখা পড়ে ৭ লেখার বিষয় বিশ্লেষণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• প্রায়োগিক যে কোনো লেখা পড়ে সাত লেখার বিষয়াবলি বুঝে সব কিছুর দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• বর্ণনামূলক কোনো বিষয় নিয়ে লিখা পড়ে লেখার বিষয়বলি বিশ্লেষণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
• বর্ণনামূলক যে কোনো লিখা পড়ে লেখার বিষয়বলি বুঝে প্রকৃত লেখকের দৃষ্টিভঙ্গী উপলব্ধি করতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
• বর্ণনামূলক যে কোনো লিখা পাঠ করে লেখার বিষয়বলির সাথে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• তথ্যমূলক যে কোনো লেখা পাঠ করে লেখার বিষয়বলি বিচার করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• তথ্যমূলক যে কোনো লেখা পাঠ করে লেখার বিষয়বলি বুঝে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• তথ্যমূলক কোনো ৭ লেখা পাঠ করে ৭ লেখার বিষয়বলির সাথে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গির তুলনা বিশ্লেষণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রার:
• কল্পনানির্ভর কোনো লিখা পাঠ করে লেখার বিষয়বলি বিশ্লেষণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• কল্পনানির্ভর যে কোনো লেখা পাঠ করে লেখার বিষয়বলি বুঝে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• আকস্মিক কোনো লেখা পাঠ করে লেখার বিষয়বলির সাথে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গির তুলনামূলক বিবেচনা করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
অধ্যায়-৪: শব্দ বুঝি বাক্য লিখি
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• ব্যকরণের সূত্র ও আক্ষরিক বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করে বিষয়বলি লিখতে বা প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• ব্যকরণের কিছু সূত্র ও আলংকারিক বৈশিষ্ট্য সংক্রান্ত ব্যবহার করে লিখতে বা প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• ব্যকরণের নানান সূত্র ও আলংকারিক বৈশিষ্ট্য বুঝে লিখতে/ প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
অধ্যায়-৫: বিবরণ লিখি বিশ্লেষণ করি
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• ব্যক্তিগত পরিসরে ঘটা বৈচিত্র্যময় ঘটনাকে নিজে পর্যবেক্ষণ ও অভিমত দ্বারা যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
• সামাজিক বা নিজস্ব পরিসরে ঘটা নানান ঘটনাকে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও অভিমত দিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
• রাষ্ট্রীয় পরিসরে ঘটা নানান ঘটনাকে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও অভিমত দিয়ে যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তকে বিবেচনা করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• এটি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের বিচার বিশ্লেষণ করে ব্যাখ্যা করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তকে বিশ্লেষণমূলক রচনায় রূপান্তরিত করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তকে বাছাই করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তকে আলোচনা মূলক করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• এটি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তকে প্রতিবেদন মূলক রচনায় রূপান্তরিত করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
অধ্যায়-৬: সাহিত্য পড়ি সাহিত্য লিখি
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• সাহিত্যের বিভিন্ন রূপ রীতি-নীতির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করে প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• এটি সাহিত্যের বিভিন্ন রূপ রেখা রীতির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করে লিখতে পারছে শিক্ষার্থীরা। অনুরূপে সাহিত্যের সমাজ, সঙ্গে জীবন ও পারিপার্শ্বের সম্পর্ক তৈরি করে লিখতে বা প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
এটি সাহিত্যের রূপ রীতি বুঝে জীবন, সামাজিক ও পারিপার্শ্বকতার সঙ্গে সাহিত্যের সম্পর্ক তৈরি করে সৃষ্টিশীল উপায়ে প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• অন্যান্য লেখকের সাহিত্য পড়ে বিষয়বস্তু উপলব্ধি করে প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• অন্য দেশের সাহিত্য পাঠের মাধ্যমে সেই দেশের সামাজিক নীতি ও সংস্কৃতি উপলব্ধি করে প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• অন্য দেশের সাহিত্যে পাঠের মাধ্যমে সেই দেশের সামাজিক ও সংস্কৃতি উপলব্ধি করে বিষয়াবলির সাথে নিজের দেশের সাহিত্যের তুলনা করে প্রকাশ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
অধ্যায়-৭: মত প্রকাশ করি ভিন্নমত বিবেচনা করি
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• কোনো বক্তব্য, বিষয়ে বা ঘটনা নিজস্ব অভিমতের প্রেক্ষিতে সম্মানিত বা জ্ঞানী ব্যক্তির সমালোচনা গ্রহণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• কোনো বক্তব্যব, বিষয়ে বা ঘটনা নিজের মতামতের
প্রেক্ষিতে সমবয়সী ব্যক্তির আলোচনা বা সমালোচনা গ্রহণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
•যে কোনো বক্তব্য,বিষয়ে বা ঘটনা নিজের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো ব্যক্তির সমালোচনা গ্রহণ করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• যেকোনো সমবয়সী ব্যক্তিসত্বার মতামতের প্রেক্ষিতে ইতিবাচক ভাবে সমালোচনা করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ বা সম্মানিত ব্যক্তির মতের ইতিবাচকভাবে সমালোচনা করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
• যেকোনো ব্যক্তির মতের ইতিবাচকভাবে সমালোচনা করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
পারদর্শিতার সূচকের মাত্রা:
• অন্য ব্যক্তির মতের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের ভুল ধরতে বা বুঝতে পারছে শিক্ষার্থীরা।
• অন্যদের মতের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের ভুল সমাধান করতে পারছে তারা।
• অন্যের মতামতের প্রেক্ষিতে নিজের ভুল সংশোধন করে উপস্থাপন করতে পারছে শিক্ষার্থীরা ।
আজকের সেশন ছিল এরিনের পক্ষ থেকে নবম শ্রেণির বাংলা মূল্যায়ন নির্দেশিকা।
Leave a Reply