এসএসসি ২০২৫ - বাংলা ১ম পত্র | আম–আঁটির ভেঁপু : বহুনির্বাচনি প্রশ্ন

অভাগীর স্বর্গ গল্প ( নবম-দমশ শ্রেণির)

(এরিনে ) আপনাকে স্বাগতম নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা গল্প আজকের সেশন টিতে আলোচনা করা হবে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম সাহিত্য পাঠ বইয়ের অভাগীর স্বর্গ গল্প নিয়ে। সারাংশ, বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর পর্ব , ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন ও অনুধাবন মূলক প্রশ্ন। অভাগীর স্বর্গ গল্প এটি পড়ার আগে আপনাকে অবশ্যই গল্পটি পড়তে হবে দুইবার বা তার বেশি। যখন গল্প পড়া শেষ হবে তখন এটি পড়া উপকার হবে আশা করি। চর্চা হিসেবে এটা পড়বা।

অভাগীর স্বর্গ গল্প ( নবম-দমশ শ্রেণির)

সারাংশ ( অভাগীর স্বর্গ গল্প : নবম-দশম শ্রেণির)

এই গল্পটি সুকুমার সেন সম্পাদিত ‘শরৎ সাহিত্যসমগ্র’ গ্রন্থ এর প্রথম খন্ড থেকে ‘অভাগীর স্বর্গ গল্প’ সংকলন হয়েছে। দরিদ্র ও নিচু বংশের লোক কাঙালী। তার মা অভাগী। তার প্রতিবেশীদের উঁচু জাতের বংশের জন্য তাদের এক গৃহকত্রীর মরে যাওয়ার পর তাদের সহকারে দৃশ্য দেখে অভাগীর মন অন্য রকম হয়ে যায়।
এতো সুন্দর করে সৎকার সে আগে দেখেনি।
এটি দেখে তারও ইচ্ছে জাগে। স্বপ্ন দেখতে শুরু করে অভাগী। সিদুর,আলতা,চন্দন, মালা,ঘৃত,মধু,ধুনা, ধূপ,অগ্নির ধোয়ায় গিন্নি স্বর্গে চলে গেলেন। অভাগীও চাই এমন মৃত্যু। কিন্তু কাঙ্গালি তার বাবাকে আনতে পারলেও অর্থের অভাবে মায়ের সৎকার করতে পারেনি। এ গল্পে জাত গুলো কে এক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈষম্যের বিলুপ্তের শিক্ষা দেয়।

সংকিপ্ত প্রশ্নাবলী ও উত্তর

১. অভাগীর স্বর্গ গল্পের লেখকের নাম কি?
উত্তর : লেখকের নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
২. কত সালে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মৃত্যু বরণ করেন?
উত্তর : ১৬ জানুয়ারি, ১৯৩৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
৩. কার স্ত্রী জ্বরে মারা গেলেন?
উত্তর : ঠাকুরদাস মূখুয্যের বর্ষীয়সী স্ত্রী জ্বরে মারা গেলেন।
৪. মায়ের দু পায়ে কে আলতা দিল?
উত্তর : দুই মেয়ে।
৫. কি দিয়ে শেষ পদধূলি মুছাইয়া দিল?
উত্তর : আচঁল দিয়া।
৬. দূর থকে কে সঙ্গী হলো?
উত্তর : কাঙ্গালীর মা।
৭. কার আচলে বেগুন বাধা ছিল?
উত্তর ; কাঙ্গালীর মার আচলে বেগুন বাধা ছিল।
৮. কাঙ্গালীর মা কেমন জাতের মেয়ে ছিল?
উত্তর : ছোট জাতের মেয়ে কাঙ্গালীর মা।
৯. কাঙ্গালীর মা কিসের মেয়ে বলে শ্মশানের কাছে যেতে সাহস পেল না?
উত্তর : দুলের মেয়ে বলে যেতে পারেনি।
১০. কোথায় দাড়িয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব দেখেছেন কাঙালির মা?
উত্তর : ডিপির উপর দাড়িয়ে দেখেছেন।
১১. শব স্থাপিত করার পর তাঁহার পা দু-খানি দেখিয়া কাহার চক্ষু দু চক্ষু জুরাইয়া গেল?
উত্তর : কাঙালীর মার।
১২. কাঙ্গালীর বয়স কত?
উত্তর : চৌদ্দ – পনেরো বছর।
১৩. তুই দাড়িয়ে আছিস মা, ভাত রাঁধবি না কে বলেছেন?
উত্তর : কাঙালী।
১৪. রথে করে কে সগ্যে যাচ্ছে?
উত্তর : বামুন মা।
১৫. কাদের গিন্নি মরেছে?
উত্তর : বামুনদের গিন্নি।
১৬. কাঙালী সঙ্গীদের সাথে মিশিবার সুযোগ হয়নি কেন?
উত্তর : রুগ্ন ছিল বলে।

আরও

১৭. কাঙালীর মা কেমন ছিলেন?
উত্তর : সতী লক্ষ্মী।
১৮. কাঙালি কে কিসের গল্প শোনায় তার মা?
উত্তর : রাজপুত্তুর,কোটালপুত্তুর আর পক্ষীরাজ ঘোড়া।
১৯. অভাগীর কত বছর বয়সের কথা উল্লেখ আছে?
উত্তর : ত্রিশ বছর।
২০. কবিরাজ কে কাঙালী কত টাকা দিয়েছেন?
উত্তর : এক টাকা প্রণামী।
২১. কার ঘরের কেউ ওষুধ খেয়ে বাচে নাই?
উত্তর : বাগদি দুলের ঘরে।
২২. অভাগী কাকে ডেকে আনতে বলেন?
উত্তর : বাবাকে।
২৩. কার কাছ থেকে আলতা আনতে বলে অভাগী?
উত্তর : নাপতে-বৌদির।
২৪. অভাগীর স্বামীর নাম কি?
উত্তর : রসিক দুলে।
২৫. অভাগী কে আগুন দিতে বলেছে কাকে?
উত্তর : কাঙালী কে।
২৬.কাঙালীর মাকে শেষে কি করা হয়েছিল?
উত্তর : মাটি চাপা দেওয়া হলো।
২৭.রসিক বেল গাছটি কী কাজে লাগাতে চেয়েছিল?
উত্তর : অভাগীর শবদাহ তে।

আজকের সেশন ছিল নবম-দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম সাহিত্য পাঠ বইয়ের একটি গল্প অভাগীর স্বর্গ। এখানে আলোচনা করা হয়েছে সংকিপ্ত প্রশ্নাবলী ও উত্তর। এগুলো পড়তে হবে গল্পটি শেষ করার পরে। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে।

একাডেমি সকল কিছু পেতে এরিনে লক্ষ্য রাখুন। এটি পড়লে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও জ্ঞান মূলক প্রশ্নের ধারণা পাবে। তোমরা পড়া শেষে এটির একটি সংক্ষিপ্ত আকারে নিজের মতো করে একটি অনুচ্ছেদ লিখার চেষ্টা করবা। এভাবে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করলে আরও তথ্য পাবে। এবং অন্যান্য তথ্য দেওয়া হলো।

নবম-দশম শ্রেণির আরও বইয়ের জন্য এমন সহজ ভাবে সাজিয়ে দেওয়া আছে এরিনে।