Welcome To ( ERIN)
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কি,
ও কেন ভর্তি হওয়া উচিত আপনার?
বিশ্ববিদ্যালয় কী জীবন নির্ধারণ করে?
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কি, ব্যাপার টা ঠিক এমন না। আমরা সব সময় ভাবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেই সব। না পেলে কিছুই না সব শেষ। জীবনে কখন কে কি হবে সব কিছুর মালিক সৃষ্টিকর্তা আমরা শুধুই হতাশ হয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার আগের জীবন টা যতটা সংগ্রামের তার থেকে বেশি সংগ্রাম করতে হয় ভর্তির পর। চারটা বছর আপনাকে বলে দিবে আপনার গন্তব্য কোথায়। আপনার চার বছরের পারফরম্যান্সের উপর ডিপেন্ড করে আপনার সবকিছু সৃষ্টিকর্তা আগে থেকেই লিখে রাখবেন এটাই ভাগ্য।
উনি জানেন আপনি এই রাস্তা খোঁজে নিবেন তাই আপনার ভাগ্যে এটা রেখেছেন। হতাশ হওয়া যাবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় চান্স না পেলে কি জীবন শেষ: আমি বলি আপনি আরও ভালো কিছু পাবেন বলেই আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হয়নি। চান্স থাকলে আবার চেষ্টা করুন। হাল ছাড়বেন না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কি খুব দরকার :
আমি বলবো হ্যাঁ দরকার বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করায় না। কিছু বেসিক শিক্ষা শিক্ষার্থীরা শিখে অনার্সে উঠেই। সেখানে ন্যাশানাল ভার্সিটিতে ক্লাস ছাড়াই পরীক্ষা হয়ে যায়। কোনো ল্যাব হয় না,এক্সট্রা কারিকুলাম একটিভিটিস হয়না, খেলাধুলা হয়না, ক্লাব হয় না,ডিবেট হয় না।
যার কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে যায়। যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল কিছু সময় মতো হওয়ার কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এক্সট্রা নলেজের দিক থেকে বেশি হয়ে থাকে।
আমার কি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া উচিত?
হ্যাঁ অবশ্যই উচিত । আপনি যদি জীবনে মুক্তমনা করতে চান তাহলে অবশ্যই উচিত আপনাকে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নাকি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়
আপনি যদি পাবলিকে চান্স পান অবশ্যই পাবলিক সিলেক্ট করবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ফী বেশি হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়। সুযোগ সুবিধা কম থাকে। ক্লাস নিলেও শিক্ষার্থী কম আসে। তাই সর্বোপরি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কে আপনি বেচে নিবেন।
পাবলিক ভার্সিটির কি কি সুবিধা থাকে?
বিশ্ববিদ্যালয় মানেই হলো মুক্তমনা। যেখানে আপনি আপনার জীবনের সব ধরনের অভিজ্ঞতা এখানে পাবেন। ভালো খারাপ মানুষ, জীবন,শিক্ষক, বন্ধু ও পরিবেশ। জীবনের সকল শিক্ষা আপনার এই একটা প্রতিষ্ঠান থেকেই হবে।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো আপনার স্বাধীনতা। আপনাকে এখানে কেউ ডমিনেট করার সুযোগ নাই। কেউ নিজর অধিকারে আসছে আপনি উরে আসছেন এমন কিছু ও না। সবাই একি প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে মেধার ভিত্তি তে এসেছেন।
সেকেন্ড সুবিধা হলো আবাসিক ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল আছে। যেখানে স্টুডেন্ট দের থাকার সুব্যবস্থা আছে। রিডিং রুম, গেস্ট রুম,গন রুম,ডাইনিং এবং খাবারের ব্যবস্থা করা আছে। আপনি যেকোনো জায়গা থেকেই পড়াশোনা করতে পারবেন। হলের সিকিউরিটিও থাকে খুব স্ট্রং।
তৃতীয়ত বিশ্বিবদ্যালয় আপনাকে দেখার সুযোগ করে দিবে কত ধরনের জ্ঞানী মানুষ আছে দুনিয়াতে।
আরও নানান সুবিধা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন খেলাধুলা, স্কলারশিপ, ডিবেট,ইন্টারন্যাশানাল কাজ ইত্যাদি তে জড়িত হওয়ার সুযোগ থাকে। পরিবহন ব্যবস্থা থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আরো অনেক সুবিধা রয়েছে, যেমনঃ
১/ টিউশন ফী দিতে হয় না। সারা বছর ফ্রী পড়ার সুবিধা।
২/ আবাসিক হলেও থাকা যায়। হোস্টেলে ফ্রী তে থাকা যায়।
৩/ স্ট্রং এলামানই থাকে।
৪/ সারা ক্যাম্পাসে ফ্রী ইন্টারনেট থাকে। ক্লাসে, হলে সহ সব জায়গায়।
৫/ ফ্রী লাইব্রেরি যেখানে ইচ্ছে মতো একটু প্রমান লিখে বই ফ্রী তে নিয়ে পড়া যায়।
৬/ মেডিকেল সেবা এটিও বড় একটা সুবিধা যা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া যায়।
৭/ দেশ সেরা প্রফেসরদের সান্নিধ্যে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ থাকে।
৮/ফ্রী ল্যাব ফ্যাসিলিটি এটিও গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। অনেক ডিপার্টমেন্টে না থাকলে তা হয় না।
ইত্যাদি।
আজকের সেশন ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়াশোনা করবো। কেন ভর্তি হওয়া উচিত। কি কি সুবিধা পেয়ে থাকবেন ভর্তি হলে।
Leave a Reply