Welcome To (ERIN)
SOP কিভাবে লিখা শুরু করবো এবং SOP তে কি কি লিখবেন না।
SOP কিভাবে লিখা,স্কলারশিপ বা উচ্চ শিক্ষা নিতে গেলে যারা খুব তাড়াতাড়ি এবং ভালো ইউনিভার্সিটি ডেকে নেয়। তারা মূলত কিছু বিষয়ে অনেক ফোকাস রাখে যার মাঝে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ SOP যা লিখার সময় অনেক কিছু মাথায় রাখা উচিত।
আমার মতে SOP লেখার আগে একটা প্ল্যান করা দরকার যে আমি কয়টা প্যারাগ্র্যাফ লিখবো, কয়টা টপিক লিখবো, কি কি বিষয়ে হাইলাইট করবো। সব কিছু একটি নোট করা উচিত। যেমন আমার সাধরনত সোপ লিখতে গেলে আমি এই ৭ টা প্যারাগ্রাফ কে প্রায়োরিটি দিব :
১)ইনট্রো পার্ট
২)আন্ডারগ্রাড ও মাস্টার্স সি জি – আপনার সিজি যেমনি থাক আপনি চেষ্টা করবেন এটিও রাখার জন্য।
৩) আপনি যদি থিওরিটিক্যাল রিসার্চ এক্সপিরিয়েন্স থাকে তাহলে এটিও রাখবেন।
৪) আপনার কোনো টিচিং এক্সপিরিয়েন্স থাকলে রাখবেন।
৫) আপনার যত ধরনের এক্সট্রা কারিকুলার ও কো কারিকুলার এক্টিভিটিস আছে তাদের।
৬) আপনার পি এইচ ডি এর মোটিভেশান কতটুকু এবং কেন।
৭) উপসংহার।
প্রথমে
আপনি আলাদা আলাদা ভাবে প্রত্যেকটা টপিক নিয়ে যা মন চায় লিখবেন। বিভিন্ন SOP স্যাম্পল পড়ে দেখেবেন তারা এই পার্টগুলো কিভাবে লিখেছে। এরপর নিজের মত করে প্রতিটা প্যারাগ্রাফ লিখার চেষ্টা করবেন এবং দেখবেন হটাৎ লেখা হয়ে গেছে প্রায় ২০০০+ ওয়ার্ড।
এরপর
আপনার কাজ একটা প্যারাগ্রাফের সাথে আরেকটা প্যারাগ্রাফ কানেকশন করে গল্প তৈরি করার চেষ্টা করা । তারপর শুরু করবেন ওয়ার্ড কমানোর কাজ। প্রথ্মে তা ২০০০+ ওয়ার্ড থেকে ১০০০ ওয়ার্ড এ নামিয়ে আনবেন।
এরপর দেখলাম যে কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি আছে যারা কিনা বলে দেয় ৫০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে লিখতে।
তো এদের জন্য আবার ওয়ার্ড কমিয়ে ৫০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে বানিয়ে নিবেন সুন্দর করে। এর মধপর আপনি এটি কয়েকজনকে দিয়ে আপনার SOP টা রিভিও করাবেন যেখানে সমস্যা চেঞ্জ করবেন।
SOP requirement
অনেকের মতামত কে সেটিসফাই করার চেষ্টা করবেন । তারপর আমার SOP টি তৈরি করে। যারা এখন SOP লিখার চেষ্টা করছেন কিন্তু শুরু করতে পারছেন না তারা আমার স্ট্রেটেজি টা ফোলো করে কয়েকটা প্যারাগ্রাফ সিলেক্ট করুন যে কি কি লিখবেন। তারপর প্যারাগ্রাফগুলো লিখে ফেলুন। এরপর আস্তে আস্তে দেখবেন একটা ধারাবাহিকতায় চলে এসেছেন এবং আপনার SOP লিখাও হয়ে যাচ্ছে।
SOP তে কি কি লিখবেন না?
এই ফল ২০২৪ এর জন্য আমি প্রায় ৩০-৪০ জনের SOP রিভিও করেছি। অনেকেই মেইন জায়গা গুলোতেই ভুল করেচেন । এগুলো দেখে আমার কাছে মনে হলো অনেক ক্যান্ডিডেট ই নূন্যতম নজর না দিয়েই SOP লিখে ফেলে। এক্ষেত্রে তারা বা প্রার্থীরা এমন এমন ইন্ট্রোডাকশন দেয় যেটা SOP এর ইমপ্যাক্ট টা নেগেটিভ লেভেল এ নিয়ে যেতে পারে। তাদের প্যারাগ্রাফ সিলেক্ট করার সময় খেয়াল থাকে না সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো:
১. কোনো প্রোফসরের নাম বা রিসার্চ না উল্লেখ করে নিজের রিসার্চ নিয়া বলা:
দেখেন আপনি যে যে ফিল্ডে রিসার্চ করছেন এটা এখানে এমন ভাবে বলে কি লাভ? SOP টা লিখতে দিয়েছে আপনাকে এইটা বলার জন্য যে আপনি কেন আবেদন করছেন? কেন আপনাকে ফান্ডিং দেয়া হবে? ভবিষ্যতে আপনি কি করবেন ? আপনি যদি আপনার রিসার্চ এক্সপিরিয়েন্স সরসভাবে ব্যাখ্যা করে যান তাইলে আবার একটা নেগেটিভ খাবেন।
আপনার রিসার্চ এক্সপিরিয়েন্স লিখলে অবশ্যই একই ফিল্ডে বা সামঞ্জস্য ফিল্ডে রিসার্চ করেন এমন প্রোফেসর খুজে বের করে তার নাম লিখতে হবে এবং তার রিসার্চ এর কিছু প্রশংসা করতে হবে। এটায় লাভ হবে। নিজে এই এই উদ্ধার করছি বলে লাভের কিছু হবে না। আপনারে মোর প্রোফেশনাল ও মোস্ট স্পেসিফিক হতে হবে।
২) চাইল্ডহুড স্টোরি:
স্টোরি বানান, মিথ্যা স্টোরি বানান, ভালো কথা৷ কিন্তু অযুক্তিক কথা বার্তা লিখবেন না। অতিরিক্ত ভিত্তিহীন কিছু বানাবেন না বা লিখবেন না। যেমন: ছোটবেলায় এনিমেশন দেখতে দেখতে আপনি কম্পিউটার সাইন্সে পি এইচ ডি করার এইম করছেন।
আপনারা এডমিশন কমিটি কে এতটাও বোকা ভাববেন না যে এটা যে মিথ্যা বলবেন সেটা তারা বুঝবে না। আবার কেউ কেউ লিখেন সাইন্স আমাকে ছোটোবেলা থেকেই চেরিস করে আসছে। আপনারে সাইন্স চেরিস করছে কি করে নাই এটা দিয়েএডমিশন কমিটি কি করবে? শুনেন একবার চিন্তা করবেন যে যা লিখতেছেন তা আপনাকে কেউ লিখে দিলে কি মনে করতেন। উনারাও সেটাই মনে করে।
৩) নিজের সিভিকে গল্পের মত লিখে দেয়া:
নিজের সিভিকে গল্পের মত করে লিখে দিয়ে SOP লিখবেন না। এটিও নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলতে পারে অনেক বেশি। বরং চেষ্টা করবেন সিভিতে আপনার সকল এচিভমেন্ট (একাডেমিক ও রিসার্চ রিলেটেড) লিখবেন, আর SOP তে সেই সব নিয়ে বলবেন যেসব দিয়ে আপনি সুন্দর করে বলতে পারেন যে এই জন্য আমি এই ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করছি। এটা খুবি প্রয়োজনীয় টপিক।
৪) ইউনিভার্সিটি ও দেশের প্রশংসা করা:
এই জিনিসটা অনেকে ২০০-৩০০ ওয়ার্ড এ লিখে। কেউবা ৫০০-৬০০ ওয়ার্ডও লিখে ফেলে। এই সেক্টরে পরিষ্কার ৫০ ওয়ার্ড এর বেশি লিখার দরকার নাই। যদি প্রশংসা করতে চান তাহলে ওই ডিপার্টমেন্ট এর প্রোফেসরদের রিসার্চ এর প্রশংসা করুন। সেটা কাজে দিবে। প্রফেসরের প্রসংসাও টেকনিক্যাল ভাবে করবেন। যে স্যার আমি আপনার এই পেপার টা পড়েছি। আপনি এখানে অনেক গ্যাপ লিখেছেন অনেক ইনফরমেটিব আমার ভালো লেগেছে। অনেক সময় নিয়ে পড়লাম। আমি আপনার রিসার্চ টিমে কাজ করতে ইচ্ছুক।
আজকের সেশন ছিল SOP কিভাবে লিখা শুরু করবো এবং SOP তে কি কি লিখবেন না।
স্কলারশিপ পেতে হলে এটির ব্যাপারেও আমাদের জানতে হবে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে।
Leave a Reply