ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপের

ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপের ধাপ!

Welcome To (ERIN)

ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপের ধাপ

Full Funding scholarship method.

ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপের

আবেদন এর আগে প্রোফাইল ম্যাকিং এর ধাপগুলো দেওয়া হলো

১) CGPA

ভালো সিজিপিএ অর্জন করা (৩.২৫+ দরকার, ৩.৫+ হলে বেস্ট, তবে অন্তত ৩.০০+ মার্জিন লাইন) আপনার সেইফ জোন হলো ৩.০০। এর নিচে গেলেই কাভার করা বা ফুল ফান্ড পাওয়া যায় না বলা যায়।

.

২) GRE স্কোর

(৩০০+ পিওর সাইন্স সাবজেক্ট এর জন্য, ৩১০+ CSE-EEE বাদে অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট এর জন্য, ৩২০+ CSE-EEE-Business background-Social Science Background এর জন্য, লাইফ সাইন্সের জন্য ৩০৫-৩১০)। 

এটা শুধু একটা ধারণা, এই স্কোরগুলোর কম স্কোর নিয়েও ফুল ফান্ডিং হয়।  ফান্ডিং এর ধারনা শুধু এগুলো। তবে এগুলো সেফ স্কোর, এমন যে এমন স্কোর থাকলে হবেই। আজ পর্যন্ত যাদের ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপ এসেছে সব সার্ভে করেই এই স্কোর কে সেফ মনে হলো।

.

৩) IELTS

  (৭.০+ সবার জন্য পর্যাপ্ত, তবে অন্তত প্রতি ব্যান্ড এ ৬.৫ লাগবে)। আপনি যদি ভালো দেশে, রেঙ্কিংয়ে আছে এমন ভার্সিটি তে ফুল ফান্ড পেতে চান এগুলো এসেনশিয়াল। কখনো কখনো ৬.৫ দিয়েও হয় যদি ভালো রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে, তবে ৬.৫ কখনোই সেফ স্কোর বলতে পারি না। 

৬.৫ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিকোয়ারমেন্ট, এটা পাওয়া মানে রিকোয়ারমেন্ট ফিল আপ করা। আর এর নিচে পেলে আবার পরিক্ষা দেয়া উচিত। এর বেশি থাকলে ফুল পান্ডের নিশ্চয়তা বাড়ে। কারণ ৬.৫ এর নিচে স্কোর নিয়ে ফুল ফান্ডিং এর চিন্তা করা উচিত নয়।

.

৪) রিসার্চ এক্সপিরিয়েন্স.

(পিওর সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট এর জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বিজনেস ও সোসাল সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডেও এটি গুরুত্ব বহন করে)। যখন আপনার রিসার্চ এক্সপিরিয়েন্স দেখাতে পারবেন এটি অনেক বেশি পজিটিভ ইফেক্ট আনবে আপনার লাইফে। রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবেও পরবর্তী তে এপ্লাই করতে পারবেন আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী। 

.

৫)পাবলিকেশন : আপনার একটি পাবলিকেশন থাকলে আপনার অনেক সাহায্য করবে।  কনফারেন্স এ এটেন্ড করা, জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ থাকা (মেন্ডেটরি নয়, তবে এটা থাকলে অন্যান্য রিকোয়ারমেন্ট এ একটু চাপ কম পরে, যেমন জি আর ই স্কোর একটু কম হয়ে গেলো – এই পাবলিকেশন গুলো তখন প্রোফাইলে ভ্যালু এড করে এই ক্ষতটা পূরণ করে দিলো। 

আবার ধরেন আপনার একটা LOR ভালো হলো না বা SOP টা ভালো হলো না তখন এই পাবলিকেশন গুলো এডমিশন পেতে সাপোর্ট দিলো। বিষয় টা ফিক্সড কিছু না, কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ)। এগুলো তে মন দিন। 

.

৬) SOP লিখা

– প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলাদা ভাবে রিসার্চ করে SOP লিখা। এটি লিখার অনেক গুলো স্টেপ আছে। আমাদের ওয়েব সাইটেই আছে। এটা সম্ভব না হলে অন্তত ৩০% পার্ট ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ডিপার্টমেন্ট এর প্রোফেসরদের রিসার্চ নিয়ে লিখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেনো অন্তত একটা পার্ট প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবমিট করা SOP তে ভিন্ন ভিন্ন হয়।

.

৭) কিছু LOR draft

লিখে রাখা। কারণ অনেক সময়ই রিকোমান্ডাররা বলতে পারেন যে আমাকে একটা ড্রাফট দেও, সেটা দিয়ে আমি নিজের মত করে LOR দিবো।

 

এক্সট্রা 

 

৮. আপনি দেশ সিলেক্ট করবেন তার সাথে জি আর ই টা সব দেশের জন্য না। কিন্তু বাকি গুলো প্রত্যেকটি দেশেই গুরুত্বপূর্ণ। 

৯.দেশের সাথে অবশ্যই ভার্সিটি সিলেক্ট করবেন। 

১০. কোন বিষয় নিয়ে পড়তে চান অবশ্যই রিসার্চ করে সিলেক্ট করবেন। 

 

বিঃ দ্রঃ এগুলো আমার মতামত। অন্য কারোর মতামত ভিন্ন হতেই পারে। ইউ এস এ তে ফুল ফান্ডিং এর প্যাটার্ন বিভিন্ন। তাই কেনো আমি কোনটা বলেছি এ নিয়ে আপনি রিসার্চ করে বের করে নিতে পারেন যে কেনো আমি কি সাজেশন দিয়েছি।

 

আজকের সেশন ছিল স্কলারশিপে ফুল ফান্ডিং কিভাবে বাহিরে যাওয়া যাবে তার পূর্ববর্তী স্টেপ।

ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপের
ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপের