প্রিয় এডমিশন ক্যানডিডেট সবাই কে এরিনে অভিনন্দন . গুচ্ছ বি ইউনিট বিস্তারিত তথ্য . গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটের মানবন্টন, সাজেশন ও যোগ্যতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া প্রত্যেকটা স্টুডেন্টের স্বপ্ন। সায়ত্ত্ব শাসিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর সকলের পছন্দের তালিকায় রয়েছে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ টি। যেখানে কোনো বিভাগ পরিবর্তন নেই । তিন বিভাগের শিক্ষার্থী তিনটি বিভাগে পরীক্ষা দিতে পারবে (এ,বি,সি)। আজকের সেশনে বি ইউনিট নিয়ে কথা হবে । শুধু মাত্র মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে। পরীক্ষার সেন্টার সকল জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় বি ইউনিট পরীক্ষা হয় শুধু মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে। অন্য কোনো বিভাগের শিক্ষার্থী বি ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে না। কিন্তু অন্য বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের সবার জন্য সিট বরাদ্দ থাকবে । নিজ নিজ ইউনিটের পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে সিট পাবে।
গুচ্ছ বি ইউনিট
বি ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা :
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় চতুর্থ সাবজেক্ট সহ নূন্যতম জিপিএ ৩.০০ করে পৃথক ভাবে থাকতে হবে। দুটো মিলিয়ে ৭.০০ লাগবে আবেদন করার জন্য। কোনো সাবজেক্ট পাওয়ার জন্য ইন্টারে ওই বিষয় নিয়ে পড়া বাধ্যতামূলক নয়।
কি কি বিষয় নিয়ে পরীক্ষা হবে বি ইউনিটে ?
সাধারণ জ্ঞান,বাংলা ও ইংরেজি প্রশ্নপত্রে থাকবে। এই বিষয় গুলো থেকেই মানবিক ইউনিটের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে ।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন খ ইউনিট ২০২৪
সাবজেক্ট ও নম্বর
সাধারণ জ্ঞান-৩০
বাংলা- ৩৫
ইংরেজি – ৩৫
মোট = ১০০
গুচ্ছ বি ইউনিট তে কি নেগেটিভ মার্কিং আছে?
হ্যাঁ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তে নেগেটিভ মার্কিং আছে। প্রত্যেক ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ২৫ কাটা হবে। চারটা উত্তর ভুল দিলে ১ নাম্বার কাটা যাবে।
মানবিক শাখার (বি -ইউনিটে) সিট কত গুলো
প্রতি বছর এই ইউনিটে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয় প্রায় প্রায় ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ প্লাস। এই ইউনিটে পরীক্ষার্থী অনেক কম্পিটিশনও বেশি। সিট সংখ্যাও খুব বেশি হয়না পরীক্ষার্থী অনুযায়ী। প্রতি সিটের জন্য প্রতি বছর ২০-২২ জন লড়াই করে ভর্তি যুদ্ধারা। কম বেশিও হয়ে থাকে।
কোন কোন বিষয়ে ফোকাস দিলে চান্স নিশ্চিত?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সকলের এখন এইচএসসি পরবর্তী প্লেন। এটা এখন সকল স্টুডেন্টদের স্বপ্ন। ভর্তি পরীক্ষা হলো একটি যুদ্ধক্ষেত্র। যার ধৈর্য ও টেকনিক জানা আছে তারাই সফলতার মূখ দেখবে। এই যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় আবার কেউ পরাজয়। সকল কিছুর মালিক সৃষ্টি কর্তা আপনি শুধু পরিশ্রম করবেন।
এখন মূল কথা হলো কোন বিষয় গুলো আপনাকে চান্স নিশ্চিত করে দিবে। ইতিমধ্যে আমি মান বন্টন টা দিয়েছি উপরে। লক্ষ্য করে দেখেন আপনার বিষয় কয়টা (বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান) । মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা নরমালি বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান সব গুলোতেই ভালো হয়। আপনি খুঁজেন আপনি কোন সাবজেক্ট টা কম পারেন। এডমিশনের সময় যদি বেশি সময় না পান তাহলে যে সাবজেক্ট টা ভালো পারেন ওইটাকেই আপনি ফোকাস করেন। বই থেকে বাংলা কাভার করেন। আপনি কি জানেন একজন শিক্ষার্থী একটা সিট পেতে তার ৭০ ও লাগে না।
আপনাকে এখন মাইন্ড সেট করতে হবে আপনি একটা সিট পেতে চান। ৫ হাজার সিট আপনার লাগবে না।
প্রকৃতপক্ষে, চান্স পাওয়ার নিঞ্জা টেকনিক
বাংলা + সাধারণ জ্ঞান ৩০+৩৫ =৬৫ পেলেই আপনার চান্স নিশ্চিত। এখন বলি আপনি যদি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে থাকেন আপনি কি বাংলা ও সাধারণ জ্ঞান পড়েন নি? ধরে নিলাম আপনি ইংরেজি পারেন খুব কম এটা বাদ দিন। আপনি ফোকাস রাখুন সাধরণ জ্ঞান, বাংলা আর ইংরেজিতে কয়েকটা নাম্বার ধরে রাখুন।
বাংলা -৩২-৩৩/৩৫
ইংরেজি- ১২/৩৫
সাধারণ জ্ঞান – ৩২/৩৫
মোট নাম্বার আসবে ৭৬ পেলে আপনি সুনিশ্চিত যে একটি সিট আপনার জন্য। তাই ভর্তি পরীক্ষার সময় শুধু পড়াশোনা করেন। আর ভাবেন ৫ হাজার নয় একটি সিট আপনার জন্য।
আইসিটি কিন্য গুচ্ছের এডমিশনের জলাগবে?
এই সাবজেক্ট টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিট, রাবি,জাবির পরীক্ষা তে লাগে। গুচ্ছ তে আইসিটি লাগবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিট নিয়ে আরেকটি সেশন দেওয়া হবে অতি দ্রুত। মান বন্টন, কোন কোন বিষয় পড়তে হবে সবকিছু নিয়ে থাকবে একটি সেশন।
জিপিএ মার্কস কতো?
গুচ্ছতে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে জিপিএ মার্কস নেই। কিছু কিছু ক্যাম্পাসে ১০০ বা ৩০-৪০/৬০ ও থাকে। সেগুলো ভার্সিটির কর্তৃপক্ষরা যা সিদ্ধান্ত নিবেন। পরীক্ষার ফলাফল শেষে ভর্তির সময়। প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেই তাদের সকল নোটিশ দেওয়া থাকে। এই ছিল আজকের সেশন ধন্যবাদ।
Leave a Reply